পিভিউ ডেস্ক : পাহাড়ধস ও জলাবদ্ধতা এখনো দুর্যোগ হিসেবে রয়ে গেছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মাস্টারপ্ল্যান যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) ‘ইকোনমিক ইমপেক্ট অব ওয়াটারলগিং ইন লোকাল ট্রেড: এ স্ট্যাডি ইন খাতুনগঞ্জ, চট্টগ্রাম অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর রিস্ক প্রোফাইল ফর চট্টগ্রাম’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নূরুল আমিন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে প্রকল্প নিলে তা বাস্তবায়নযোগ্য হয় এবং সুফল পাওয়া যায়। জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ইতিমধ্যে ডেল্টা প্ল্যান করা হয়েছে এবং এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে যার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমানো হচ্ছে। ২০৪১ সালে প্রতিটি এলাকা হবে পর্যটন এলাকা।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সম্পর্কিত যেকোনো প্রকল্পে একনেকে পাস করার ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেন পরিকল্পনা সচিব।
চট্টগ্রাম চেম্বার ও বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের উদ্যোগে নগরের আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে খাতুনগঞ্জ এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয় তা নিরূপণ এবং চট্টগ্রামে শিল্প খাতে ঝুঁকি প্রাক্কলনের লক্ষ্যে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে ন্যাশনাল রেসিলিয়েন্স প্রোগ্রামের (এনআরপি) উপ-প্রধান ও প্রকল্প পরিচালক ড. নুরুন নাহার, ইউএনডিপি’র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট (ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজেস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট) আরিফ আবদুল্লাহ খান, বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, জেলা প্রশাসনের ডিডিএলজি (উপ-সচিব) ইয়াসিন পারভিন তিবরিজী, চেম্বার পরিচালক সৈয়দ জামাল আহমেদ, ছৈয়দ ছগীর আহমদ ও সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, স্থপতি জারিনা হোসেন, সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. শহীদুল ইসলাম খান ও প্রধান প্রকৌশলী হাবীব মহিউদ্দিন, চসিকের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নুরুল আমিন, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সামিলা রীমা ও ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল বাহার সাবেরী বক্তব্য দেন। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের ফ্যাকাল্টি অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ ও ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের পরিচালক ড. মোল্লা মো. আওলাদ হোসেন।