চীনের এক শহর থেকে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন ধরনের এক ভাইরাস- নভেল করোনাভাইরাস। হাঁচি-কাশি-সর্দির মাধ্যমে এ ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে বলে অনেক দেশেই এখন সবার মুখে মুখে সার্জিক্যাল মাস্ক।
পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ তো বটেই, পর্যটকদের ঘোরাফেরা বেশি এমন পশ্চিমা শহরগুলোতেও এখন মাস্কের বিক্রি বেড়ে গেছে। মাস্কের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় বেইজিংয়ের একটি ওষুধের দোকানকে জরিমানাও করা হয়েছে।
কিন্তু এসব মাস্ক বাতাসে ভেসে বেড়ানো নভেল করোনাভাইরাস থেকে মানুষকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে?
যে শহরে ভাইরাস ছড়িয়েছে, সেখানে বাইরে বের হওয়ার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করা ভালো, কারণ তাতে হাত থেকে মুখে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে। আবার যারা ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরও মাস্ক ব্যবহার করা উচিৎ, যাতে তাদের হাঁচি-কাশি থেকে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি কমে।
তবে ওই মাস্ক বাতাসে ভেসে বেড়ানো করোনাভাইরাস আটকে দিতে পারবে, এমন ভরসা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন না।
ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের ডা. ডেভিড ক্যারিংটন বলছেন, “যেসব ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া বাতাসে ভেসে বেড়ায় সেগুলো থেকে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক খুব বেশি সুরক্ষা দিতে পারে না। এ ধরনের মাস্ক হয় ঢিলেঢালা, বাতাস ফিল্টার করার কোনো ব্যবস্থাও থাকে না। তাছাড়া মাস্ক পড়লেও চোখ থাকে খোলা। আর বেশিরভাগ ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেই ছড়ায়।”
বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। তারা বলছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের শুরুটা বেশ পুরনো হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রবণতা বেড়েছে বেশি।
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বে ৫ কোটি মানুষ মারা যায়। মূলত তখন থেকেই হাসপাতালের বাইরে সাধারণ মানুষের মধ্যেও সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার শুরু হয়। গণপরিবহনে চড়ার সময় এবং ভ্রমণেও অনেকে এই মাস্ক পরা শুরু করেন।