পিভিউ ডেস্ক : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিটি মেয়র পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে গিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, কাউন্সিলর সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সিটি মেয়র বলেন, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। মেধাবী সন্তানদের হত্যা করাই বর্বর পাকিস্তানী এবং তাদের দোসরদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। তারা জানত যে, একটি দেশের সামগ্রিক মেধা ধ্বংস হয়ে গেলে সেই দেশের সকল উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। ৭১ সালে মার্চ মাস থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদরদের নিয়ে বেছে বেছে এদেশের নেতৃত্বদানকারী ডাক্তার, শিক্ষক, সাংবাদিক, লেখক, মুক্তিযোদ্ধা ও প্রকৌশলী সহ হাজার হাজার মেধাবী সূর্য সন্তানদেরকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। ৩০ লক্ষ শহীদ এবং ৩ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। দেশ পরিচালিত হয় পাকিস্তানি ভাবধারায়। এ সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সকল চিন্তা চেতনাকে ধুলিস্যাৎ করে দেওয়া হয়।
মেয়র বলেন, ২১ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করতে থাকে। ফলে এ প্রজন্মের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে ও শিখতে শুরু করে। ফলে সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ এখন স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছর। বাংলাদেশকে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করার দায়িত্ব হচ্ছে এ প্রজন্মের সন্তানদের। এসময় তিনি ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির মাধ্যমে চিহ্নিত মহানগরের ৬১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণে করপোরেশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার কথাও জানান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চত্বরে জমায়েত শেষে মহানগর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।