বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে প্রায় দু বছর ধরে গবেষণার পর বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের একান্ত সমুদ্র এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির বেশ কিছু মূল্যবান উদ্ভিদজাত এবং প্রাণীজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে।
পরে এগুলো নিয়ে যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ ভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
এসব গবেষণা ও পরীক্ষা নিরীক্ষার ফল আজ যৌথভাবে প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও ম্যারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান খুরশিদ আলম।
গবেষণায় পাওয়া তথ্য উপাত্ত জানিয়ে তারা বলেন বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় বিপুল পরিমাণ গ্যাস হাইড্রেট ছাড়াও ২২০ প্রজাতির সি-উইড, ৩৪৭ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৪৯৮ প্রজাতির ঝিনুক, ৫২ প্রজাতির চিংড়ি, ৫ প্রজাতির লবস্টার, ৬ প্রজাতির কাঁকড়া এবং ৬১ প্রজাতির সি-গ্রাস চিহ্নিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন ওই গবেষণায় বাংলাদেশের একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় ম্যারিন জেনেটিক রিসোর্স এর অবস্থান চিহ্নিত করা এবং বিবিধ প্রজাতি চিহ্নিত করে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে বাংলাদেশের কিছু প্রজাতির সি উইডে প্রচুর প্রোটিন আছ যা ফিশ ফিড হিসেবে আমদানি করা ফিশ অয়েলের বিকল্প হতে পারে। আবার কিছু প্রজাতি অ্যানিমেল ফিডের মান বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত হতে পারে।
কসমেটিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয় এমন কিছু উপাদান পাওয়া যায় এমন সি উইডও অনেক পাওয়া গেছে সমুদ্রে।