পিভিউ স্পোটস ডেস্ক : মিড অনে বল পাঠিয়ে দ্রুত একটি রান। এরপর ব্যাট উঁচিয়ে বাতাসে ছোঁড়া। উদযাপন বলতে এইটুকুই। কাইল মেয়ার্সকে দেখে বোঝার উপায় নেই, কী কাণ্ড তিনি ঘটিয়ে ফেলেছেন! মুখের হাসি অবশ্য চওড়া। সেই হাসিতেই খুঁজে নেওয়া যায় ইতিহাস গড়ার প্রতিচ্ছবি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মাত্র ২৯ গড়ের ব্যাটসম্যান টেস্ট অভিষেকে রেকর্ডের মালা গেঁথে উপহার দিলেন অসাধারণ এক ডাবল সেঞ্চুরি। অবিশ্বাস্য রান তাড়ায় বাংলাদেশের আশা গুঁড়িয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেল মহাকাব্যিক জয়।
সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ একগাদা শীর্ষ ক্রিকেটার না থাকায় যারা খর্বশক্তির দল। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, টেস্টের আগে ওয়ানডে সিরিজে যারা হয়েছে হোয়াইটওয়াশড।
মূল ক্রিকেটাররা থাকলে যার হয়তো দলে থাকাই হতো না, সেই মেয়ার্স ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের রূপকথাময় জয়ের নায়ক। কদিন আগেও যাকে খুব একটা চিনত না ক্রিকেট বিশ্ব। টেস্ট অভিষিকেই তিনি নিশ্চিত করে দিলেন, তাকে মনে রাখবে ক্রিকেট ইতিহাস!
চতুর্থ ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ৩৯৫। প্রথম ৩ ব্যাটসম্যানকে হারিয়েছিল তারা ৫৯ রানে। স্পিন সহায়ক মন্থর উইকেটে শেষ দিনে প্রয়োজন ছিল ২৮৫ রান। সবকিছুতেই ছিল বাংলাদেশের জয়ের বার্তা। মেয়ার্স ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সব সমীকরণ বদলে দিল দারুণ এক জয়ের রঙে।
নায়ক মেয়ার্সের সঙ্গে তীব্র আলোর ঝলকানিতে উজ্জ্বল পার্শ্বনায়ক দুজনের ছবিও। একজন তার মতোই অভিষিক্ত, এনক্রুমা বনার। শেষ দিন প্রথম দুই সেশনই বাংলাদেশকে উইকেটবিহীন রেখে জয়ের ভিত গড়ে দেয় মেয়ার্স ও বনারের জুটি। উইকেটে দুজনের একসঙ্গে বিচরণ ছিল ৭৩ ওভারের বেশি। ২১৬ রানের সেই জুটিই ক্যারিবিয়ান দুঃসাহসিক জয়ের শিরদাঁড়া।
আরেকজন জশুয়া দা সিলভা। স্কোরকার্ডে যার নামে পাশে রান কেবল ২০। তবে তার অবদানের বিশালত্ব ফুটে উঠবে জুটিতে। শেষ সেশনে যখন দোলাচলে ম্যাচের ভাগ্য, প্রচণ্ড চাপের মধ্যে মেয়ার্সের সঙ্গে জশুয়ার ১০০ রানের জুটিতেই হয়ে যায় ফয়সালা।
সম্পাদনা-এসপিটি