হালদায় ‘নমুনা ডিম’ ছেড়েছে মা মাছ

0
233

পিভিউ ডেস্ক :   দেশে কার্প জাতীয় মাছের একমাত্র প্রাকৃতিক প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় মা-মাছ ‘নমুনা ডিম’ ছেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) রাত ১২টার দিকে জোয়ারের সময় অভিজ্ঞ জেলে ও মৎস্যজীবীরা রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউশ মাছের কিছু নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করেছেন।

হালদাপাড়ে এখন চলছে ডিম থেকে রেণু ও পোনা তৈরির প্রস্তুতি। জেলেদের ধারণা, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হলে তারা আশানুরূপ ডিম সংগ্রহ করতে পারবেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা বিশেষজ্ঞ ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বাংলানিউজকে হালদায় মা মাছ ‘নমুনা ডিম’ ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, রাত ১২টার পর স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারী ও মৎস্যজীবীরা জোয়ারের সময় মা-মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। এ ধরনের ডিমকে স্থানীয়রা ‘নমুনা ডিম’ বলে থাকেন।

‘মা-মাছ হয়তো প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে ডিম ছাড়লে পোনা তৈরি করা সম্ভব কিনা। পরিবেশ, প্রতিবেশ ও পানির গুণাগুণের প্যারামিটারগুলো ঠিকঠাক থাকলে মা-মাছ ডিম ছাড়বে।’

স্থানীয় জেলেরা জানান, হালদা থেকে সংগৃহীত মাছের ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু, পোনার দেশজুড়ে চাহিদা রয়েছে। দামও ভালো পাওয়া যায়। সাধারণ হ্যাচারিতে কৃত্রিম পদ্ধতিতে উৎপাদিত পোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বড় হয়। এতে মৎস্যচাষিরা লাভবান হয়।

মূলত হালদার কাগতিয়ার আজিমের ঘাট, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম গহিরা অংকুরী ঘোনা, বিনাজুরী, সোনাইর মুখ, আবুরখীল, খলিফার ঘোনা, সত্তারঘাট, দক্ষিণ গহিরা, মোবারকখীল, মগদাই, মদুনাঘাট, উরকিচর এবং হাটহাজারী গড়দুয়ারা, নাপিতের ঘাট, সিপাহির ঘাট, আমতুয়া, মার্দাশা ইত্যাদি এলাকায় ডিম পাওয়া যায় বেশি। সৌজন্যে-বাংলানিউজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here